বাংলাদেশী পাসপোর্ট তৈরি করার জন্য আবেদন করার পর পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে ফিঙ্গার দেওয়া হয়ে গেলে কিছুদিন পর অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় কোনো না কোনো কারণে পাসপোর্ট তৈরির প্রক্রিয়া থেমে থাকে। এই থেমে থাকার সম্ভাব্য ১০ টি কারণ নিয়ে আমি এর আগে আপনাদেরকে দেখিয়েছি। সরাসরি ইউটিউব চ্যানেল থেকে ওই ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন। ভিডিও না দেখে ঐ দশটি কারণ জানতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন।
আরো একটি কারণ আমি পেয়েছি আমার এক কাস্টমারের ক্ষেত্রে ঘটেছে। উক্ত বিষয়টি আমি আজকের এই লেখার মাধ্যমে তুলে ধরেছি।
পাসপোর্ট তৈরি করতে দেওয়ার পর আপনার পাসপোর্ট তৈরি প্রক্রিয়াটি থেমে থাকলো কিনা অথবা চলমান আছে কিনা অথবা কি অবস্থায় আছে তা অনলাইনের মাধ্যমে মাঝে মাঝে চেক করার প্রয়োজন পড়ে। যাকে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ভাষায় স্ট্যাটাস চেক করা বলা হয়। আপনার পাসপোর্ট তৈরির সর্বশেষ অবস্থা জানতে অর্থাৎ CHECK STATUS এর জন্য এখানে ক্লিক করুন।
আমি যেই ব্যক্তির বিষয়টি আপনাদেরকে তুলে ধরেছি ওই ব্যক্তির পাসপোর্ট তৈরির জন্য পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে ফিঙ্গার দেয়ার ১৫ দিন পরে অর্থাৎ যখন পাসপোর্ট প্রায় হাতে পাওয়ার কথা তখন অনলাইনে সর্বশেষ অবস্থা অর্থাৎ স্ট্যাটাস চেক করে তিনি দেখতে পান তার আবেদনটি রিওয়ার্ক অবস্থায় আছে। অর্থাৎ আবেদন প্রক্রিয়াটি পুরোপুরি থেমে আছে। কেন থেমে আছে তা কিন্তু অনলাইনে বলে দেয় না স্ট্যাটাস চেক করলে সেখানে কোন প্রকার সম্ভাব্য কারণ উল্লেখ করা হয় না। কি কারনে পাসপোর্ট তৈরি প্রক্রিয়াটি থেমে আছে তা জানার জন্য গ্রাহককে অবশ্যই যে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে ফিঙ্গার দেয়া হয়েছে সেই অফিসে গিয়ে তাকে অনুসন্ধান করতে হবে তার পাসপোর্ট তৈরি প্রক্রিয়াটি থেমে থাকার কারণ জানার জন্য। অবশ্যই সাথে ডেলিভারি স্লিপটি নিয়ে যেতে হবে কারণ আপনার স্লিপে আপনার আবেদন নম্বরটি এনরোলমেন্ট নাম্বার বলা হয় ওই নাম্বারটি রয়েছে সেটি দিয়েই অনুসন্ধান করতে হয়।
আমার ওই কাস্টমার তার পাসপোর্ট এর সর্বশেষ অবস্থা থেমে আছে জানতে পেরে তিনি যখন পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে অনুসন্ধান করলেন তখন তিনি জানতে পারলেন তার আইডি কার্ড ব্লক করা আছে যার ফলে তার পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনে আটকে রয়েছে। করনীয় কি বা সমাধান জানতে চাইলে পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা তাকে জানান আপনার আইডি কার্ডে ত্রুটি রয়েছে, আইডি কার্ড অনলাইনে পাইতেছে না, নির্বাচন কমিশনে গিয়ে আপনার আইডি কার্ড ঠিক করান, এরপর আমাদের কাছে পুনরায় এসে জানান আমরা আপনার পাসপোর্ট এর তৈরি প্রক্রিয়া পরবর্তী স্টেপে এগিয়ে নেব।
আমার এই কাস্টমার তাৎক্ষণিক নির্বাচন কমিশনে গেলেন, তিনি তার নিজস্ব উপজেলা নির্বাচন কমিশনে গেলেন, গিয়ে তার এনআইডি কার্ডের অর্থাৎ তার জাতীয় পরিচয় পত্রের অনলাইন ভেরিফাই কপি তুললেন, তুলে তিনি জানতে পারলেন নির্বাচন কমিশনে তিনি একপ্রকার মৃত অবস্থায় আছেন। কথাটির অর্থ হল ভোটার তালিকা থেকে তাকে কর্তন করা হয়েছে। এটা জেনে তিনি বিষয়টি আমার সাথে শেয়ার করলেন তখন আমি তাকে প্রথম প্রশ্ন করলাম আপনি কি গত নির্বাচনে ভোট দিতে পেরেছিলেন তিনি বললেন যে না, এই কথা শুনে আমি তাকে বললাম আপনি ভোট দিতে পারেন নাই তার মানে আপনার নাম কোন না কোন কারনে ভোটার তালিকা থেকে কর্তন করা হয়েছে অর্থাৎ আপনার নাম বাতিল করা হয়েছে। তাকে বললাম আপনি পুনরায় নির্বাচন কমিশনে যান তাদেরকে বলেন আমার এই সমস্যার সমাধান করা প্রয়োজন। কাস্টমারকে আমি আরেকটু পরামর্শ দিয়ে দিলাম যেহেতু তিনি বিদেশ থেকে ছুটিতে এসেছেন তাই তার ভিসার কপি ও টিকেটের কপিও নিয়ে যেতে বললাম যাতে করে নির্বাচন কমিশন তার এই সমস্যা সমাধানটি দ্রুত করার চেষ্টা করতে পারবেন।
উপজেলা নির্বাচন কমিশনে গিয়ে তিনি তার সমস্যার সমাধানের জন্য সেখানকার অফিসার কে রিকুয়েস্ট করলে দায়িত্ব প্রাপ্ত অফিসার অনুসন্ধান করে জানতে পারেন তার চোখের রেটিনার সাথে অন্য জেলার অন্য ব্যক্তির চোখের রেটিনার আংশিক মিল হওয়ার কারণে উভয় ব্যক্তির এন আইডি কার্ড নির্বাচন কমিশনে ব্লক হয়ে আছে। অফিসার আমার কাস্টমারকে বললেন ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রদত্ত ছবিসহ নাগরিকত্ব সনদ নিয়ে আসতে। সম্ভাব্য ডকুমেন্ট নিয়ে উক্ত অফিসে আবার গেলে তারা হেড অফিসের সহায়তায় তার আইডি কার্ডের ব্লকটি খুলে দেয়ার ব্যবস্থা করেন। পর্যায়ক্রমে তার এনআইডি কার্ডের লক খুলে যায় এবং তিনি ভোটার তালিকায় পুনরায় অন্তর্ভুক্ত হন।
এরপর এন আইডি কার্ডের অনলাইন ভেরিফিকেশন কপি তুলে পাসপোর্ট অধিদপ্তরে গিয়ে এনরোলমেন্ট অফিসারকে দিয়ে তার আইডি কার্ডের ভেরিফাই কপিটি সাবমিট করলে তার পাসপোর্ট তৈরি প্রক্রিয়াটি পুনরায় শুরু হয় এবং একপর্যায়ে তিনি তার পাসপোর্টটি হাতে পেয়ে যান।
ই পাসপোর্ট তৈরি প্রক্রিয়া আটকে থাকার সম্ভাব্য এই নতুন কারণটি জানতে নিচের ভিডিও লিংকটিতে ক্লিক করুন। আমার ইউটিউব চ্যানেল থেকে সরাসরি জানতে পারবেন।
এ ধরনের গুরুত্বপূর্ন বিষয় সম্পর্কে সরাসরি আমার ভিডিও দেখে জানতে ও শিখতে অথবা শিখে গ্রাহক সেবা দিয়ে আয় করতে আমার ইউটিউব চ্যানেল টি ভিজিট করুন এবং গুরুত্বপূর্ন মনে হলে সাবস্ক্রাইব করে পাশে থাকা বেল বাটন অন করে রাখুন, ফলে সবার আগে আপনি নোটিফিকেশন পেয়ে যাবেন।