ই পাসপোর্ট তৈরির সময় আপনি পেন্ডিং ফর ডেমোগ্রাফিক জাস্টিফিকেশন সমস্যায় পড়তে পারেন। এই সমস্যায় পড়লে অনেকেই নানাবিধ হয়রানির শিকার হয়ে যেমন, বিশেষ করে পাসপোর্ট তৈরির সময় অনেক বেশী লেগে যায় এবং সমস্যা টি থেকে মুক্তি পাওয়ার সঠিক গাইড লাইন না পেয়ে নতুন করে আরো সমস্যায় পড়ে যেতে হয়। সমস্যা টি থেকে মুক্তি পেতে অনেকে টাকার বিনিময়ে সমাধানের রাস্তা খুজেও সমাধান না পেয়ে আরো আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হয়ে থাকেন।
তাই আমি চেস্টা করবো আজকের আলোচনার মাধ্যমে আমার অভিজ্ঞতার আলোকে আপনাকে পেন্ডিং ফর ডেমোগ্রাফিক জাস্টিফিকেশন এর সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার সঠিক গাইডলাইন দেওয়ার।
কয়েক টি সহজ ধাপে আপনি এই সমস্যার সমাধান খুজে পাবেন। চলুন জেনে নেই ধাপগুলো কিকি?
১ম ধাপ: আপনি যে বিভাগীয় / আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্ট এর আবেদন জমা দিয়েছিলেন সেখানে যেতে হবে। অফিসে যাওয়ার সময় আপনার পাসপোর্ট এর ডেলিভারী স্লিপ টি এবং আপনার পরিচয় প্রমাণ করার সকল কাগজপত্র যেমনঃ আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র, পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র, নাগরিক সনদপত্র এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র সাথে রাখতে হবে। পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক / সহকারী পরিচালক মহোদয়ের নিকট আপনার ডেমোগ্রাফিক জাস্টিফিকেশান সমস্যাটির কথা বলুন।
২য় ধাপ: ১ম ধাপে প্রয়োজনীয় সম্ভাব্য ডকুমেন্টস সহ আপনার সমস্যার বিষয় অফিসে উপস্থাপন করা হলে পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক অথবা সহকারী পরিচালক মহোদয় আপনার পক্ষে ডেমোগ্রাফিক রিজেক্ট নিষ্পত্তির লক্ষ্যে পুনঃতদন্ত করার জন্য এক কথায় অধিকতর তদন্তের জন্য একটি চিঠি ইস্যু করবেন । এই ধরনের চিঠি সাধারনত জেলা ডিএসবির উপ-পুলিশ কমিশনার বরাবর ইস্যু করা হয়।
৩য় ধাপ: এই ধাপে জেলা ডিএসবি অফিস থেকে একজন তদন্ত কর্মকর্তা আপনার পাসপোর্ট আবেদনের ফাইলে উল্লেখিত মোবাইল নাম্বারে কল দিয়ে আপনার সাথে যোগাযোগ করবেন এবং আপনার বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা সহ নানাবিধ তথ্য যাচাইপূবর্ক একটি তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করে আপনার নির্ধারিত বিভাগীয় / আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে পাঠাবেন। স্থায়ী ও অস্থায়ী ঠিকানা ভিন্ন হলে উভয় ঠিকানায় পুলিশ ভেরিফিকেশন/তদন্ত হবে এবং ২ টি ঠিকানা ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে একটু বেশী সময় লাগবে।
৪র্থ ধাপ: সবকিছু ঠিক থাকলে অর্থাৎ জেলা ডিএসবি ভেরিফিকেশন পুলিশ এর তদন্ত রিপোর্ট আপনার পক্ষে হলে আপনার পাসপোর্ট অফিস থেকে সকল ডকুমেন্ড স্কেন করে আপনার এনরোলমেন্ট আইডি টি ডেমোগ্রাফিক জাষ্টিফিকেশন মডিউল থেকে অবমুক্ত করার জন্য ঢাকাস্থ হেড অফিসে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। এরপর ঢাকা অফিস থেকে আপনার সকল ডকুমেন্ট রিপোর্ট পুনরায় যাচাই-বাছাই করে আপনার এনরোলমেন্ট আইডি ডেমোগ্রাফিক জাষ্টিফিকেশন মডিউল থেকে অবমুক্ত করা হবে, যার ফলে আপনার পাসপোর্ট আবেদন পেন্ডিং ফর ডেমোগ্রাফিক জাস্টিফিকেশান স্ট্যাটাস থেকে পরিবর্তন করে Ready for Print স্টেটাসের মাধ্যমে পাসপোর্ট প্রিন্ট করতে পাঠাবে (প্রিন্ট স্টেটাস এর আগে ও পেন্ডিং ফর পাসপোর্ট পারসোনালাইজেশন এর আগে পেন্ডিং ইনভেস্টিগেশন ইন সেন্ট্রাল ও দেখতে পারবেন)। এতে ভয়ের কিছু নাই। কিছু সময়/দুই একদিন পর Ready for Print স্টেটাস চলে আসবে। এরপর প্রিন্ট হয়ে পাসপোর্ট শিফট
পাসপোর্ট অফিস থেকে ডিএসবিতে আপনার ১ম চিঠিটি দ্রুত যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট অফিস কর্মকর্তাকে অনুরোধ করুন। প্রয়োজনে নিজে জেলা ডিএসবিতে যোগাযোগ করুন আপনার চিঠিটি তাদের কাছে পাসপোর্ট অফিস থেকে আসছে কি না। প্রতিটি ধাপে আপনি একটু খেয়াল রাখাতে গেলে আপনার যাতায়াত ভাড়া গেলেও এতে করে আপনার কাজটি দ্রুত হবে।
একটি বিষয় মনে রাখবেন, সমস্যায় যেহেতু আপনি পড়েছেন আপনাকেই এটা থেকে বের হতে হবে। তাই মাথা ঠাণ্ডা রেখে সব কিছু করুন। পাসপোর্ট অফিস ও পুলিশের কোন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সাথে খারাপ ব্যাবহার করবেন না। তাহলে সমস্যা সমাধান করা কঠিন হয়ে যাবে। আপনি ভালো ব্যাবহার করলে উনারাও আপনাকে সহযোগিতা করবেন। নিজের অভিজ্ঞতায় দেখেছি পাসপোর্ট অফিস ও পুলিশের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বেশ ব্যস্ত থাকে। তাই তাদের সময় দিন আপনার ফাইল প্রসেস করার জন্য।
আপনার সব তথ্য যদি সঠিক থাকে, আর সব ডকুমেন্টস থাকে আপনার ভয়ের কিছু নাই। পাসপোর্ট আপনি পাবেন অবশ্যই।
আশা করি আমি মূল বিষয়টি আপনাকে বুঝাতে সক্ষম হয়েছি। লেখাটি নিম্নের শেয়ার বাটনে ক্লিক এর মাধ্যমে আপনার ফেসবুকে শেয়ার দিন, এতে অনেকে উপকৃত হবেন এবং আমিও এ ধরনের গুরুত্বপূর্ন কনটেন্ট তৈরিতে উৎসাহ পাবো।
এ ধরনের গুরুত্বপূর্ন বিষয় সম্পর্কে সরাসরি আমার ভিডিও দেখে জানতে ও শিখতে অথবা শিখে গ্রাহক সেবা দিয়ে আয় করতে আমার ইউটিউব চ্যানেল টি ভিজিট করুন এবং গুরুত্বপূর্ন মনে হলে সাবস্ক্রাইব করে পাশে থাকা বেল বাটন অন করে রাখুন, ফলে সবার আগে আপনি নোটিফিকেশন পেয়ে যাবেন।
ধন্যবাদ আপনাকে।