টিকার কার্ড এর মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করার নিয়ম Mobile Number Change in Vaccine Card Solved
আসসালামু আলাইকুম ভিউয়ার্স লেটেস্ট ইনফো বিডি এর পক্ষ থেকে আপনাকে শুভেচ্ছা। আজকের এই শিক্ষামূলক টিউটোরিয়ালটির মাধ্যমে কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন কার্ডের মোবাইল নাম্বার পরিবর্তন করার প্রক্রিয়া জানতে পারবেন।
আমরা সকলেই জানি যে ভ্যাকসিনের কার্ড বা ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট বা টিকার কার্ড অনলাইন থেকে ডাউনলোড করার জন্য নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে গিয়ে এন আইডি নাম্বার অথবা পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে ডাউনলোড করতে গেলে যেই মোবাইল নম্বরটি দিয়ে ভ্যাকসিন রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছিল সেই মোবাইল নম্বরে একটি ছয় সংখ্যার ওটিপি আসে। সেই ওটিপি উক্ত ওয়েবসাইটে দেয়ার পর আমরা আমাদের কাঙ্খিত ভ্যাকসিন সার্টিফিকেটটি ডাউনলোড করার সুযোগ পাই। কিন্তু এমনটা যদি ঘটে যে মোবাইলে আসতেছে না কারণ আপনার হাতে যে মোবাইল নম্বরটি এই মুহূর্তে আছে সেই মোবাইল নম্বরটি দিয়ে আপনি ভ্যাকসিন রেজিস্ট্রেশন করেন নাই। এই অবস্থায় আপনি ভ্যাকসিনের কার্ডটি ডাউনলোড করতে পারবেন না কারণ আপনি ওটিপি দিতে পারবেন না। এই সমস্যার সমাধান কিভাবে করবেন সেই সম্পর্কে আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে আপনাকে সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করছি মাত্র। এই নিয়ম ফলো করে হাজারো মানুষ সমস্যার সমাধান করেছেন।
কভিড-19 ভ্যাকসিনের রেজিস্ট্রেশনের সময় সাধারণত দেখা যায় অনেকেই যেই দোকান থেকে বা যেই কম্পিউটার টাইপিং সেন্টার এর মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন সেই দোকানদার তার ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করে গ্রাহকদের ভ্যাকসিনের রেজিস্ট্রেশন করে দিয়েছেন, আবার দেখা গেছে আপনি যেই মোবাইল নম্বরটি দিয়ে ভ্যাকসিন এর নিবন্ধন করেছিলেন সেই মোবাইল নম্বরটি আপনার কাছে নেই অথবা নাম্বারটি আপনারই না, অথবা ওই নাম্বারটি যে ব্যক্তির তাকে আপনি খুঁজে পাইতেছেন না, অথবা যার মোবাইল নাম্বারটি ব্যবহার করেছিলেন তিনি দেশের বাইরে চলে গিয়েছেন অথবা আপনারই মোবাইল নম্বর ছিল কিন্তু নাম্বারটি হারিয়ে গেছে, অথবা আপনার নিজের রেজিস্ট্রেশন করা নাম্বার না থাকায় হারিয়ে যাওয়া মোবাইল নাম্বারের সিম টি মোবাইল কোম্পানীর অপারেটরের কাছ থেকে তুলতে পারতেছেন না। এই অবস্থায় একমাত্র সমাধান হলো সুরক্ষা ডট গভ ডট বিডি সার্ভার থেকে আপনার পূর্বে ব্যবহারকৃত মোবাইল নম্বরটি পরিবর্তন করতে হবে। অর্থাৎ সরকারি কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আপনার ভ্যাকসিনের রেজিস্ট্রেশন এর মধ্যে বর্তমানে যে মোবাইল নম্বরটি রয়েছে সেটিকে পরিবর্তন করে আপনার রানিং মোবাইল নম্বরটি সেখানে বসাতে হবে। এই কাজটি করতে পারলেই আপনি অনলাইন থেকে আপনার ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেট বা ভ্যাকসিন কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন কারণ এখন সার্ভারে আপনার বর্তমান রানিং নাম্বার পরিবর্তন হয়েছে, তাই ওটিপি আসবে আপনার নিজের মোবাইল নম্বরে এবং আপনার সমস্যার সমাধানটিও হয়ে যাবে।
টিকার কার্ডের মোবাইল নম্বরটি পরিবর্তন করার জন্য ঢাকার মহাখালী কাঁচাবাজারের সামনে গিয়ে সেখানে ডক্টর শহীদ মিলনায়তন ভবনে যাবেন। গিয়ে তথ্য কেন্দ্র আছে সেখানে কর্তৃপক্ষের কাছে আপনার সমস্যাটি উপস্থাপন করবেন। অবশ্যই আপনার টিকার কার্ড টি, এন আইডি কার্ড, এবং আপনার মোবাইলটি নিয়ে যাবেন। যদি আপনার কাছে আপনার টিকার কার্ডটি না থাকে অসুবিধা নেই তাদেরকে বলবেন আমার কার্ডটি হারিয়ে গেছে আমার মোবাইল নাম্বার সার্ভারে না থাকার কারণে আমি ডাউনলোড করতে পারতেছি না, তাই সার্ভারে আমার নিজের বর্তমান মোবাইল নাম্বার বসাতে চাই। তারা তাৎক্ষণিক আপনার রিকোয়েস্ট টি রেখে দিয়ে সর্বোচ্চ ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আপনার সার্ভার থেকে মোবাইল নম্বরটি পরিবর্তন করে বর্তমান নাম্বার দিয়ে দিবে। এরপর আপনি অনলাইন থেকে আপনার ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেটটি সহজভাবেই ডাউনলোড করতে পারবেন কারণ সার্ভারে আপনার বর্তমান নাম্বার দেওয়া থাকবে, যার ফলে ওটিপি পেতেও আপনার অসুবিধায় পড়তে হবে না। আমি প্রায়ই দেখেছি যাওয়ার সাথে সাথেই যথাযথ কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে যারা আছেন তারা তাৎক্ষণিক গ্রাহকদের কে তাদের সমস্যার সমাধান করিয়ে দিয়ে সহযোগিতা করেছেন।
উল্লেখ্য যে, উক্ত অফিসে যাওয়ার পূর্বে একটি দরখাস্ত লিখে নিয়ে যেতে পারেন কারণ কর্তৃপক্ষ চাইলে আপনার কাছে একটি দরখাস্ত দাবি করতে পারেন। দরখাস্তটিতে একেবারই সাধারন ভাষায় আপনার সমস্যাটি কর্তৃপক্ষ বরাবর উল্লেখ করবেন, আইড নাম্বার, মোবাইল নম্বর থাকবে এবং আপনার স্বাক্ষর থাকবে। দরখাস্তটি কিভাবে লিখতে হবে জানতে চাইলে আমার লাইভ ভিডিওটি দেখে নিতে পারেন সেখানে আমি একজন ব্যক্তির দরখাস্ত লিখে সরাসরি ভিডিও দিয়েছি ভিডিওর লিংকটি দিয়ে দিলাম এখানে ক্লিক করুন।
বিঃ দ্র: উপরোক্ত নিয়মে যেমন হাজারো মানুষ তাদের সমস্যার সমাধান পেয়েছেন, ঠিক তেমনি যে কোন সময় কর্তৃপক্ষ তাদের এই নিয়ম পরিবর্তন করার অধিকার রাখেন। এটা একান্তই বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিদ্ধান্ত।
আশা করি আমি মূল বিষয়টি আপনাদেরকে বুঝাতে সক্ষম হয়েছি। টিউটোরিয়ালটি ভালো লাগলে নিম্নের শেয়ার বাটনে ক্লিক করে আপনার ফেসবুকে শেয়ার দিয়ে সকলকে বিষয়টি জানার সুযোগ করে দিবেন।
ধন্যবাদ
এ ধরনের গুরুত্বপূর্ন বিষয় সম্পর্কে সরাসরি আমার ভিডিও দেখে জানতে ও শিখতে অথবা শিখে গ্রাহক সেবা দিয়ে আয় করতে আমার ইউটিউব চ্যানেল টি ভিজিট করুন এবং গুরুত্বপূর্ন মনে হলে সাবস্ক্রাইব করে পাশে থাকা বেল বাটন অন করে রাখুন, ফলে সবার আগে আপনি নোটিফিকেশন পেয়ে যাবেন।